ভাইয়ার গল্প - অর্ধাঙ্গিনী ও গার্লফ্রেন্ড

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
সেদিন বিকেলে হেঁটেই যাচ্ছিলাম প্রাইভেট পড়তে ।
বাড়ি থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর দেখলাম বড় ভাইয়া একটা মেয়ের হাত ধরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গল্প করছে। বুঝতে বাকি রইল না ভাইয়ার সাথে মেয়েটার অন্য একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু নিজেকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না, কারণ ভাইয়া বিবাহিত। ওরা ভালোবেসেই বিয়ে করেছে, ৪ বছরের একটা ছেলেও আছে।
দেখেও না দেখার ভান করে প্রাইভেটে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ চেষ্টা করলাম পড়ায় মন দিতে কিন্তু পারছিলাম না, বারবার চোখের সামনে ভাসছে ভাইয়ার সেই ঘটনাটা।
স্যারকে বলে আজকের মতো ছুটি নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
ফিরে এসে দেখলাম, ভাইয়া টিভির রুমে বসে টিভি দেখছে পাশে কেউ নেই। আমি রুমে না গিয়ে সোজা ভাইয়ার কাছে গিয়ে বসলাম।
ভাইয়া জিঞেস করলো- কিছু বলবি?
- হাঁ । আচ্ছা ভাইয়া, বিয়ের পরেও কি একটা ছেলে বা একটা মেয়ে অন্য আরেকজনের সাথে সম্পর্কে জড়াতে পারে ?
-ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বললো, হঠাৎ এই কথা কেন?
- না, এমনেই।
পারে কি না একটু বলো...!
- হা পারে, কারণ স্ত্রী হচ্ছে দেওয়াল ঘড়ির মতো, যা ঘরের দেওয়ালেই মানায় বাইরে নয়। তেমন গার্লফ্রেন্ড হচ্ছে বাইরে যাওয়ার সময় হাত ঘড়ির মতো, বাইরে গেলেই তা হাতে দিয়ে ইচ্ছামত ঘুরাঘুরি করা যায়।
-(একটু হেঁসে) ঠিকি বলেছিস,
তবে হাঁ, স্ত্রী যদি দেওয়াল ঘড়ির মতো হয় তাহলে বলবো সেটাই ভালো। কারণ ঘরের মালিক মারা গেলেও সেই ঘড়িটা ঘরের দেওয়ালেই থাকে আর গার্লফ্রেন্ড অর্থাৎ হাত ঘড়ি যদি তার মালিক মারা যায় কিংবা হাত দুটো নষ্ট হয়ে যায় সেই হাত ঘড়িটা তখন অন্য জনের হাতে চলে যায়।
আশা করি তোকে আর কিছু বোঝাতে হবে না, তুই বুঝে গেছিস ।
• ভাইয়ার চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে, বুঝতে পারলাম ভাইয়া বুঝতে পারছে। তাই আর কিছু না বলে ভাইয়ার কাঁধে হাতটা রেখে বললাম-
- ভাইয়া, আজ তোকে রাস্তায় যে মেয়েটার সাথে দেখেছি সেই মেয়েটার তুলনায় ভাবি অনেক গুণ ভালো, ঐ মেয়েটা তোর সরলতার সুযোগ নিয়ে তোকে ব্যবহার করছে। যে মেয়েরা একটা ছেলে বিবাহিত জেনেও তার সাথে সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করে তার মতো খারাপ মেয়ে পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টা নেই।
এরা কোনো ভদ্র ঘরের মেয়ে হতে পারে না, এদের জন্মই হয় অন্যের ঘর ভাঙ্গার জন্য।
এগুলো বলে ভাইয়ার কাছ থেকে রুমে চলে গেলাম। তার পর থেকে আজ অবধি ভাইয়াকে আর কোনো মেয়ের সাথে দেখিনি। ভাবির সাথে অনেক ভালো আছে সে 🥰