গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার টেংরাখোলা গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় স্যালো মেশিন দিয়ে পানি নিস্কাসন

কাজী ওহিদ,
মুকসুদপুর উপজেলা সহ সারা দেশব্যাপী বেশ কিছু দিন ধরে মুসুল ধারে বৃষ্টি ও নদ নদীতে পানি বৃদ্ধিতে মুকসুদপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের টেংরাখোলা গ্রামের বিভিন্ন স্থানে পানি বন্দি হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। টেংরাখোলা গ্রামের আকরাম শরীফ, কাজী ওহিদ,রিতা বেগম,মিজান মোল্যা, মতিয়ার,মাওলানা মুরাদ হোসেন,মান্নান মাস্টার,রিভা বেগম,বাইজিদ শরীফ, ফিরোজ শেখ,ইকবাল ক্যাশিয়ার,মিরান শরীফ, মোকলেচুর রহমান ও দেলোয়ার মোল্যার বাড়ী সহ অনেকের বাড়ীর চার পাশে পানি বন্দি হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এই এলাকার পানি নিস্কাসনে পৌরসভার পক্ষ থেকে কোন ড্রেনের ব্যবস্থা না করায় এলাকার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।পানি নিস্কাসনে পৌর কর্তৃক এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। নিরুপায় হয়ে টেংরাখোলা গ্রামের আকরাম শরীফ নিজ প্রচেষ্টায় স্যালো মেশিন মাধ্যমে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা করছেন। টেংরাখোলা চৌরঙ্গী হতে বটতলা রাস্তার মুরাদ মৃধার বাড়ীর উত্তর পাশ দিয়ে ব্রীজের পূর্ব দিক থেকে লিয়াকত শেখের বাড়ী উত্তর পাশ হয়ে মরহুম খোকা শরীফের বাড়ী পর্যন্ত ১৫/২০ ফিট চড়া করে একটি ড্রেন নির্মাণ করলে এক দিকে যেমন গ্রামের জলাবদ্ধতার পানি সহ সকল প্রকার পানি দ্রুত কমলাপুর নদীতে নিস্কাসন হবে অপর দিকে ড্রেন নির্মিত হলে এলাকার মানুষ ড্রেনের উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে। উল্লেখ্য থাকে, মুরাদ মৃধার বাড়ী হতে মরহুম খোকা শরীফের বাড়ী পর্যন্ত কোথাও ৪০ফিট,
কোথাও ৩০ফিট ও কোথাও ২২ফিট সরকারি হালটের জমি রয়েছে। স্থানীয় ভক্তিভুগিরা জানান, ড্রেন বা রাস্তা নির্মাণ করতে ব্যক্তি মালিকানার কোন মানুষের জমি ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। চৌরঙ্গী হতে টেংরাখোলা ব্রীজ পর্যন্ত কয়েক বছরে আগে একটি ড্রেন নির্মিত হয়েছিল। সঠিক ভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না করার কারনে ড্রেনে মাটি, ময়লা ও আর্বজনায় ভরাট হয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এতে করে কোন রকম বৃষ্টি নামলে এলাকার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়তো। মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জোবায়ের রহমান রাশেদ দিন রাত প্রচেস্টা চালিয়ে আজ এক সপ্তাহ ব্যাপী লিভার ও ভেকু দিয়ে মাটি, ময়লা ও আর্বজনা পরিস্কার করে ড্রেন দিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে জলাবদ্ধতা থেকে মানুষকে রক্ষা করার চেস্টা চালাচ্ছেন। ২০০০ সালে মুকসুদপুর পৌরসভা গঠিত হয়েছে। প্রায় ২১ বছর পৌরসভার মেয়াদ উর্ত্তীন হলেও ৬নং ওয়ার্ডের টেংরাখোলা গ্রামে আশানুরুপ কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। মানুষের চলাচলে জন্য গ্রামে রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই শোচনীয় অবস্থা। এলাকার মানুষের দুর ভোগের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃক পক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুদৃষ্টি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Sent from my Huawei phone