দুঃখের চেয়ে বড় দুঃখ।

--------------------//রওশন আরা আঁখি
করোনার কাল দূর হবে
হয়ত কোনও একদিন,
এর ক্ষত রয়ে যাবে বহুদিন।
মা-বাবার সম্মুখে
যুবক ছেলের লাশ,
চোখের জলে ভারী আশপাশ।
ছেলে মেয়ের সম্মুখে
মা বাবার করুণ মৃত্যু
দুচোখ ভরা শুধু ই অশ্রু।
সান্ত্বনা দেয়ার নেই কেহ পাশে
দুঃখীর দুঃখ একাই সয়
হৃদয় হিম হয়ে আসে।
শেষ বিদায় টুকু বড় বেদনার
নিজের চিরপরিচিত জায়গায়
ঠাইটুকু হয় না তার।
বাবা মার কবরের পাশে
চিরনিদ্রায় থাকার শেষ ইচ্ছেটুকু
অধরা ই রয়ে যায়,
এ কেমন মৃত্যু প্রভু!!
বুঝা বড় দায়।
স্বজনের শেষ বিদায়ে
দুঃখ সইবার সময়টুকু নেই,
হাসপাতালে এডমিট হতে হয়
করোনা পজিটিভ কিনা
জেনে নিতে হয়।
চৌদ্দ দিনের কোয়ারেন্টাইন
বড় বেদনা দায়ক,
বুকের ভার হালকা করার
পাশে নেই কোনও সহায়ক।
চিরচেনা পরিবেশ
নিরব,নিথর চারপাশ
কোলাহল পূর্ণ জীবন যাপন
কেড়ে নিল অদৃশ্য ভাইরাস।
বুক ফাটা চিৎকার
শুনতে কি পাও!!
কাছে থেকে কাছে নেই
আজ কেউ।
নিজের দুঃখ নিজেই সই
বড় একাকী জীবন,
অদৃশ্য ভাইরাস
বড় অশান্ত করে দিয়েছে
এ মন।
কর্মহীন বেকারত্ব, ক্ষুধার্ত
অসহায় মানুষ কাটাচ্ছে নির্ঘুম রাত,
বন্যা,ঝড়োবৃষ্টি,অদৃশ্য ভাইরাস জেকে বসেছে,
জরাজীর্ণ জীবনে
আষ্ট্রেপৃষ্ঠে লেগে আছে বালামসিবত।
আগাম বন্যায় তলিয়ে গেল,
ক্ষেতের পাকা ফসল,
ক্ষেতের সবজি ক্ষেতেই বিনষ্ট
কৃষকের দুচোখ ভরা জল।
এমন পরিবেশ চোক্ষু সম্মুখে
সয়ে যাচ্ছি নিরবে,
দুঃখের চেয়ে বড় দুঃখ
সয়ে যাচ্ছে সবাই
কে কাকে সান্ত্বনা দিবে?